কাউছার আলম, পটিয়াঃ
পটিয়ায় টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নারী ভোটার হওয়ার অভিযোগ। পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা নারী আছমিদা আকতার নামের এক নারীকে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সনদ পত্র দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সনদ পত্র নিয়ে ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।
জানা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা ফেরদৌস আরা বেগম ও পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মো. ফয়সালের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা নারী অাছমিদা আকতার, পিতা- মো. আমির হোসেন, সাং-পূর্ব বাড়ৈকাড়া, পোস্ট-অফিস মৌলভী হাট উল্লেখ্য করা হয়েছে। গত ১৭ জুন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিলুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের তদন্তের প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয় সনদ পত্র প্রদান করা হয়েছে। রোহিঙ্গা মহিলা জন্মসনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেটের আবেদন ফরমে সই ও সিল মেরে পরিষদে জমা দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মো. ফয়সাল ও মহিলা সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের যোগসুত্রে মেয়েটির সমস্ত কাগজ পত্র ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা করে ছবি তুলার জন্য তাকে বোরকা পড়ে পরিষদে আসতে বলেন রোহিঙ্গা নারী উপস্থিত লোকজনের সামনে স্বীকার করেছেন।
এমন কি নির্বাচনী অফিস থেকে কিভাবে সই নিতে হয় তাও তারা ব্যবস্থা করে দেয়। বৃহস্পতিবার বিকালে রোহিঙ্গা মেয়েটি ভোটার হতে ছবি উঠানোর সময় উপজেলার বড়লিয়ার ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ মেম্বার হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে তাকে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসে। মহিলা সদস্যা ফেরদৌস আরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটির বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে বলে দাবি করেন।
রোহিঙ্গা মেয়েটির সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করে শাহগদী মাজারবাড়ির কাশেমের বোন হিসেবে এবং ওদের পরিবারের আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে সংযুক্ত ছিল যা টাকার বিনিময়ে নিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানু বলেন, আমার এক মহিলা মেম্বার তথ্য গোপন করে উনাকে জাতীয় সনদ দেয়ার সহযোগিতা করেছে। ভোটার হতে এসে উনার কথা বার্তা অসংগতি দেখা দিলে আমার সন্দহ হয়। সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। তার শ্বশুর বাড়ি আমার এলাকায় বলে এলাকার এক ছেলে রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেছে। তবে টাকার বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
Leave a Reply